গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

2

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেতে আমাদের সবার প্রিয়।

একদিন দুপুরে গরুর মাংস ও সালাত দিয়ে ভাত খাচ্ছিলাম তখন আমার বন্ধু আমাকে বলছে তুমি গরু মাংস খাচ্ছো।

সে আমাকে বলল গরুর মাংসে না কলেস্টোরেল ডায়েবেটিস ও ক্যান্সার হয় ।

আমি তখন তাকে যেটা বলছিলাম। গরুর মাংস খেলে শরীরের অনেক সমস্যা হতে পারে তবে আপনি কিভাবে রান্না করে খাচ্ছেন সেটি একটি বিষয়।

কোন ধরণের মাংস খাচ্ছেন কি পরিমাণ মাংস খাচ্ছেন এর উপর ডিপেন্ট করে।

গরুর মাংসে অনেক উপকারিতা আছে যা অন্য কোন মাংসে পাওয়া কষ্টকর।

আমরা গরুর মাংসের উপকারিতা নিয়ে সংক্ষেপে বলি গরুর মাংসে ভালো পরিমান  প্রোটিন আছে যা আপনি  অন্য কোন ফল বা শাখ সবজিতে পাবেন না ।

এই গরুর মাংস আমাদের শরীরে যে প্রোটিন দেয় তা আমাদের শরীরের হাড় ত্বক মাংশপেশী গঠনে সাহায্য করে।

গরু মাংসে আয়রণ আছে যা নতুন রক্ত   তৈরি করতে সাহায্য করে। জিংক আছে  যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি  করে।

আরো অনেক ভিটামিন মিনারেল পাওয়া যায় গরুর মাংসে।

তবে  গরুর মাংসে স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে শুধু তাই না এতে বেশি পরিমাণ খেলে ক্ষতিও  আছে।

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ৮৫ গ্রাম বা তার বেশি লাল মাংস  গ্রহণকারীর পক্ষে হার্টের সমস্যা ১৮ % বা ক্যান্সাওে মৃত্যুর ঝুকি ১০% হারে।

আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে ডায়াবেটিস রোগের ১২% বেশি যত লাল মাংস খাওয়াছে তত ঝুঁকির হার বেশি।

এখন আপনাদের  মনে হতে পার এই মাংস খাওয়া খুব ক্ষতিকর। কখনোই খাওয়া উচিৎ না।

গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

তবে এখানে একটা কিন্তু আছে। যে গবেষণা থেকে আমরা লাল মাংস খাওয়ার কথা জেনেছি ।

তারা নিশ্চত করে বলেনা যে লাল মাংস খাওয়ার কারণে সেই মানুষগুলোর হার্ডের রোগ, ডায়াবেটিস রোগ ও ক্যান্সার হয়েছে। অন্য কারণে ও এমন হয়ে থাকতে পারে।

তাই এসব গবেষণার ভিত্তিতে বিশ^ স্বাস্থ সংস্থা গুলো গরুর মাংস বা লাল মাংস খেতে নিষেধ করে না।

বরং মাংস খাওয়ার পরিমানটা কমিয়ে আনতে বলে। তাহলে কত গ্রাম মাংস খেতে হবে।

আপনি যদি আগে ৯০ গ্রাম মাংস খেতেন তবে এখন ৭০ গ্রাম খাবেন।

এটাই বলে গবেষকরা ।

কারো পরিবারে যদি ১ কেজি গরু মাংস রান্না হয় তবে একদিনে বা একবারে খাওয়া যাবেনা।

পরিবারের সদস্য অনুযায়ী ভাগ করে পরিমান মতো খেতে হবে। আর যদি গরুর সাথে খাসির মাংস খাও তবে এই হিসাবে খেতে হবে।

কিভাবে মাংস রান্না করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে আর কিভাবে রান্না করলে ঝুঁকি কমে।

গবেষণায় দেখা গেছে যেভাবে রান্না হয় তাতে ক্যান্সারের  ও ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি থাকে।

এমনকি মাংস অধিক তাপে বা আগুনে পুরে বারবিকিউ করলে ক্যান্সারের  তৈরি হয় এমন  কেমিক্যাল বেশি উৎপন্ন হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে অধিক তাপে বেশি তাপে মাংস পুড়ানোর চেয়ে অল্প তাপে মাংস রান্না করা ভালো।

গরু মাংস খেতে সাবার বেশি ভালো লাগে ।

তাই সবার উচিৎ গরু মাংস পরিমিত মাপ অনুযায়ী খাওয়া। বাহিরের রান্না করা মাংসা বলতে গ্রীল বিফ সালাত বিফ কাবাব আরো কত মাংসের রিসিপি আছে তা পরিহার করা।

এই ধরণের খাবার দেশের বাহিরে পাওয়া যায়  খুব বেশি  বর্তমানে আমাদের দেশেও এখন পাওয়া যায়।

গবেষণা দেখা গেছে যারা বাহিরে এধরণের খাবার বা মাংস বেশি খায় তাদের ক্যান্সার বা ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগ বেশি হয়।

সচেতনমুলক কিছু কথা  তা হলো গরুর কলিজা গর্ভবতী মহিলাদের না খাওয়া কারণ গরুর কলিজাতে ভিটামিন এ আছে যা গর্ভের সন্তানের ক্ষতি করে।

যারা কিডনির রোগে আকাক্র তারা গরুর মাংস ডাক্তারের পরামশ নিয়ে খাবেন।

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *