গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
আমাদেরকে একজন প্রশ্ন করেছেন,তিনি অনেক দিন ধরে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন।
গলা বুক জ¦ালাপোড়া পেটে অনেক গ্যাস হয়, পেট ফাফা মনে হয়,
মুখে টক টক লাগে আবার বমি বমি ভাব হয়। বিশেষ করে প্রতিদিন গ্যাসের ঔষধ খেতে হয়।
এই গ্যাসের ঔষধ ছাড়া কি গ্যাস্ট্রিক এর অসুখ ছাড়ানো যাবেনা। কি করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো।
৫টি সহজ ঘরোয়া উপায় আলোচনা করব যা গবেষনায় প্রমাণিত।
প্রথমতো : ঘরোয়া উপায় হলো বিছানার মাথার দিকে একটু উঁচু করে দেওয়া মানে একটা বালিশের জায়গায় দুইটা বালিশ ব্যবহার করা।
দেখা যায় আপনার শরীর একটু উঁচু নিচু হওয়া কারণে পেটে ভাজ পরে এর জন্য গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা হতে পারে। এখানে একটা মজার সমাধান আছে ।
বাজারে কিছু তোষক পাওয়া যায় যেটা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দুর করতে পারে।
আপনার বিছানাটা মাথার দিকে হালকা একটু উঁচু করলে দেখবেন আপনি গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবেন আশা রাখি।
দি¦তীয়তো: কিছু খাবার এড়িয়ে চলা ।
আমাদের দেশে প্রচলিত আছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অনেক খাবার খাওয়া নিষেধ। জিনিসটা এমন না । একাক জনে একাক খাবারে সমস্যা থাকতে পারে।
এই ধরেন আমার কথা আমি যদি শশা খাই তবে আমার গ্যাস্ট্রিক হয়।
এর মানে শশা খেলে আপনারো গ্যাস্ট্রিক হবে এমন না।
যার যে খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় সেসব খাবার এড়িয়ে চলা তাতে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ববনা কম থাকে।
তৃতীয়তো: ঘুম আর খাওয়ার মাঝে বিরতি তার মানে বিষয়টা বুঝিয়ে বলি।
গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
সেটা হচ্ছে আপনি রাতের খাবার খাওয়ার পর কমপক্ষে ৩ ঘন্টা পর ঘুমাতে যাবেন।
আপনি যদি রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পরেন সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চতুর্থ : আমাদের কিছু মানুষ আছি যারা খুব বেশি খাই। তারা খাবার পরিমান মতো খায়না।
এই পরিমান মতো না খাওয়ার কারণে আমাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হতে পারে।
তাই খাবারের পরিমানটা একটু খেয়াল করা।
পঞ্চম : ওজন গ্যাস্ট্রিকের আরেকটি সমস্যা।
যাদের একটু ওজন বেশি তাদে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হয়। তাই ওজন কমানো দরকার । এই ওজনের কারণে অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যার যে ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করলাম ।
তা অবশ্যই আপনারা অনুষরণ করবেন। আর এ উপায়গুলো যার উপর যেভাবে প্রয়োজ্য হবে তিনি সেভাবে গ্রহণ করবে।
অর্থাৎ যার যেভাবে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দুর হয় সেই ঘরোয়া পধদ্ধি ব্যবহার করবেন ।