চোখ উঠার কারণ ও ঘরোয়া সমাধান

18

চোখ উঠার কারণ ও ঘরোয়া সমাধান

পরিবারে একজনের চোখ উঠলে দেখা যায় সবার চোখ ওঠে।

চোখ ওঠা থেকে সুরক্ষিত থাকতে কি করবেন? আর যদি চোখ ওঠে যায়।

তাহলে চোখ ওঠার ঘরোয়া উপায় কী? তবে চোখ ওঠার  প্রতিরোধের তিনটি উপায় আছে।

১। যার চোখ ওঠেছে তার তোয়ালে গামছা রুমাল বিছানা এমনকি তার কোন জিসিন ব্যবহার না করা তার ব্যবহারিত জিনিস আলাদা রাখা।

তার পোষাক এবং ব্যবহারে যা আছে তা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে ভালো করে শুকাতে হবে। তারপর ব্যবহার করবে।

২। এই  ইনফেকশন হাঁচি কাঁশি ও বাতাসের মাধ্যমে  ছড়ায়।

চোখ ওঠলে হাঁচি কাঁশি দেওয়ার সময়  মুখ কাপড়  দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। টিসু দিয়ে মুখ ঢাকলে পরে ফেলে দিতে হবে। বা রুমাল ব্যবহার করলে তা ধুয়ে ব্যবহার করতে হবে।

৩। চোখ ওঠা রোগীর  চোখ পরিষ্কার করার পর হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে মলম দেওয়ার সময় যেন হাত চোখে না লাগে।

প্রচলিত আছে  চোখ ওঠা চোখে চোখ পরলে চোখ ওঠে এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

তবে রোগীর ব্যবহারিত কোন জিনিস ব্যবহার না করলে চোখ না ওঠার সম্ভবনা কম থাকে।

এতক্ষন চোখ ওঠার প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করলাম।

এবার আলোচনা করব চোখ ওঠার ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে

১। ঠান্ডা পানি দিয়ে এক টুকরা কাপড় দিয়ে আক্রান্ত চোখে হালকাভাবে শেক দিতে হবে।

সেটা পর পর কয়েবার এভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে শেক দিলে চোখে আরাম পাবেন।

২। চোখে হাত মুছবেন না এবং চোখে হাত দিয়ে মোতলাবেন।

চোখ উঠার কারণ ও ঘরোয়া সমাধান

এতে করে আপনার আক্রান্ত চোখ আরো বেশি লাল হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনি পানি গরম করে সেই পানি ঠান্ডা করে, তুলা বা সুতি কাপড় দিয়ে চোখের পুঁজ বা ময়লা পরিষ্কার করবেন। এবং সাথে সাথে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিবেন।

৩। চোখের ড্রোপ অর্থাৎ বাজারের ফার্মিসীতে এক ধরণের ড্রোপ পাওয়া যায় তা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই চোখে ব্যবহার করতে পারবেন।

ব্যবহারের ফলে চোখের খোচ খোচ ও লালছে ভাব কমে যাবে।

যদি চোখের অবস্থা খুব গুরুতর হয় তবে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

বিশেষ সর্তকতা যারা চোখের মেকাপ বা কন্টাক লেন্স ব্যবহার করেন তারা চোখ ভালো হওয়ার পর ব্যবহারিত কোন লেন্স ব্যবহার না করা।

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *