পেটের মেদ কমানোর উপায়
যে ছোট ছোট অভ্যাস আমাদের মেদ বাড়িয়ে যায়। সে বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করব। মেদ বাড়ার ১০ টি কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
১। কোন বেলায় খাবার বাদ দেয়া : অনেকেই সকালের খাবার বাদ দিয়ে একবারে দুপুরের সাথে খাবার পরিকল্পনা করেন।
এক বেলা খাবার খাওয়া বাদ দিলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
কারণ পেট ক্ষুধাত্ব থাকে এতে করে খাবার বেশি লাগে।
এতে করে ওজন ও মেদ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
যদি আপনার ক্ষেত্রে এমনটি হয় তাহলে কোন বেলার খাবার বাদ দিবেন না।
যদি বাদ যায় তবে খাবার খাওয়ার সময় লক্ষ্য করতে হবে অতিভোজন যেন না হয়।
২। আনমনে খাওয়া: টিভিতে নাটক বা খেলা দেখতে দেখতে খাওয়া অভ্যাস থাকে তবে মেদ ভুরি বাড়ার সম্ভবনা থাকে।
সমস্যাটা টিভিতে না সমস্যা হচ্ছে আপনি যখন খাবার খাচ্ছেন তখন কতটুকু খাচ্ছেন সেটি কিন্তু বোঝা যায় না।
কারণ মন তখন থাকে নাটক বা খেলা দেখতে উদাসিন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া হয়।
টিভি দেখতে দেখতে কিছু খেতে হবে এটা আমাদের অভ্যাস এখানে ক্ষুধা কোন বিষয় না।
তাই খাওয়ার সময় মনযোগসহকারে খেতে হবে। কতটুকু খাবার প্রয়োজন ঠিক ততোটুকু।
৩। মানসিক চাপ: আমরা যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপে থাকি তখন আমাদের শরীরে এক ধরলে হরমোন নিঃষারিত হয় তার কারণে পেটের মেদ বা ভুরি বাড়ার সম্ভবনা থাকে।
মানষিক চাপের কারণে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় ডাক্তারের পরার্মশ নেওয়া উচিৎ।
৪। খারাপ ঘুমের অভ্যাস: অনেক গবেষণায় দেখা গেছে ঘুম কম পারা মানুষের ওজন বেশি বাড়ার সম্ভবনা থাকে।
ঘুমালে তো কিছু খেতে ইচ্ছা করবে না। বেশি রাত জেগে ঘুমালে অনেক সময় কিছু খেতে মন চায়।
তখন আমরা যে খাবারগুলি খাই বিশেষ করে সে খাবার ফেট জাতীয় খাবার।
আর নিয়মিতভাবে কম ঘুমে মেদ বাড়ার সম্ভবনা থাকে।
পেটের মেদ কমানোর উপায়
৫। তারাতাড়ি খাবার অভ্যাস: আপনি যখন খাবার খাওয়া শুরু করেন তখন খাবার পেটে যাওয়া সময় ব্রেইনের সাথে সর্ম্পক থাকে।
খাবার পেটে গিয়েছে কিনা সেটা ব্রেইনের জানতে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আপনি যদি খুব তারাতাড়ি খাবার খান তবে ব্রেইন জানতে পারবেনা আপনার খাবার পেটে গেছে কিনা।
এভাবে তারাতাড়ি খাদ্য গ্রহণে জন্য মেদ বাড়ার সম্ভবনা থাকে।
৬। বড় থালায় খাবার খাওয়া: আমাদের অনেকের বড় থালায় খাবার খাওয়া খুব পছন্দ করি।
বড় থালা যদি খাবার বেশি থাকে তবে আমাদের বেশি খাবার গ্রহণ করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে মেদ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত খাবার এবং মাঝারি থালায় খাবার খাওয়া।
৭। নো ফ্যাট বা তৈল জাতীয় খাবার না খাওয়া: নো ফ্যাট বা তৈল জাতীয় খাবার না খাওয়া।
আমদের দেশে কিন্তু খুব বেশি খাওয়া হয়। ডাক্তার একেবাওে নিষেধ করেন এসব খাবার এড়িয়ে চলার জন্য।
৮। শুয়ে বসে না থাকা: শুয়ে বসে থাকা অলসতার কারণ আর অলস মানুষ খেতে বেশি পছন্দ করে। এজন্য নিয়মিত কাজ করতে হবে।
সারাদিনেই শুয়ে থাকলে শুধু খেতেই মন চাইবে। শুয়ে বসে থাকার কারণে মেদ বাড়তে পারে।
৯। সাদা চাল সাদা আটা খাওয়া : সাদা চাল বা সাদা আট খেলে মেদ বাড়ার সম্ভবনা আছে।
এজন্য ঢেঁকি ছাটা চাল বা আটা খেলে মেদ বাড়ার সম্ভবনা কম থাকে।
১০। সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খাওয়া: অনেক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গেলে রিলেটিভ আবদার করে, একটু বেশি করে খান।
এতে করে মেদ বাড়ার সম্ভবনা আছে।