বাংলাদেশে 4g নেটওয়ার্ক কবে চালু হয়

9

৪জি নেটওয়ার্ক এর আওতায় দেশের সকল টাওয়ারগুলো কে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বর্তমানে আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সকল মোবাইল টাওয়ার গুলোকে ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে।

মোস্তফা জব্বার ‘ব্রডব্যান্ড নীতিমালা বিষয়ক’ একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি আরো জানান বাংলাদেশের সবাই যেন সুলভ মূল্যে ব্রডব্যান্ড সুবিধা উপভোগ করতে পারে তাই খুব দ্রুতই ব্রডব্যান্ড নীতিমালা আপডেট করতে যাচ্ছি।

মোবাইল টাওয়ার গুলোকে উন্নত করার পাশাপাশি দেশের সকল মানুষের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান।

এখন বিদেশে রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশে ৫জি মোবাইল তৈরি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ উন্নত মানের মোবাইল উৎপাদিত 14 টি মোবাইল কারখানায় বর্তমানে মোবাইল উৎপাদন হচ্ছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, উচ্চগতি সম্পন্ন অপটিক্যাল ফাইবার ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট’ বাংলাদেশের বিভিন্ন চর অঞ্চল, দ্বীপ ও হাওর
সহ দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বর্তমানে কাজ চলছে।

৪জি নেটওয়ার্ক এর আওতায় আসবে দেশ

ইন্টারনেট সেবা শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আধুনিক করতে সহায়তা করবে।
দেশের প্রতিটি মানুষকে উচ্চগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন
ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে 557 টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ
বিভাগ এর উদ্যোগে।

ইন্টারনেট সেবা বিকাশে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তিনি তুলে ধরেন এবং তিনি জানান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ করে চর,
দ্বীপ ও হাওরসহ অধিকাংশ জায়গা গুলোতে উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন করার জন্য বর্তমানে কাজ চলছে।

চলতি বছর 2021 সালের ভিতর বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।৪জি নেটওয়ার্ক এর আওতায় আসবে দেশ

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে এমন কোন ইউনিয়ন থাকবে না সেখানে দ্রুত গতির ইন্টারনেট থাকবে না এবং বিভিন্ন অঞ্চলে
12800 ফ্রি ওয়াইফাই জোন গড়ে তোলা হয়েছে।

এ সময় তিনি উল্লেখ করেন বিগত অনেক বছরের তুলনায় বর্তমানে ইন্টারনেট অনেকটাই সহজলভ্য হয়েছে।
বিশেষ করে 2008 সালে বাংলাদেশ প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিল 27 হাজার টাকা কিন্তু বর্তমানে প্রতি এমবিপিএস
ইন্টারনেট দাম মাত্র 285 টাকা।

৪জি নেটওয়ার্ক এর আওতায় আসবে দেশ

তবে সরকারের এই উদ্যোগ দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা কে উন্নত করবে এবং আমরা যারা ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে সমস্যায় আছি তারা সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো।

বর্তমান অবস্থার কথা কমবেশি প্রায় সকলেই জানেন যে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের গতি কতটা কম।
বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চল গুলোতে নেটওয়ার্কের অবস্থা খুব খারাপ তবে শহর অঞ্চলের ইন্টারনেট স্পিড মোটামুটি ভালো।

তবে গ্রাম সহ দেশের প্রতিটি মানুষেরই ইন্টারনেট সেবার প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমান আধুনিক যুগে ইন্টারনেট ছাড়া সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা কিছুটা অচল হয়ে পড়েছে।
তাই প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অবশ্যই আমাদের উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট প্রয়োজন।
যদিও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা উন্নত করাটা অনেকটা সময় সাপেক্ষে এবং অনেক ব্যয়বহুল।

বাংলাদেশে 4g নেটওয়ার্ক কবে চালু হয়

তবে সরকার খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের এবং নেটওয়ার্ক সেবা উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।
বর্তমান অবস্থা থেকে অনেক ভালো ইন্টারনেট সেবা আমরা পাব বলে আশা করছি।
ইন্টারনেট সেবা উন্নত করা কাজ যতক্ষণে শেষ না হবে সম্পূর্ণ ভাবে দেশের সকল প্রান্তে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছাবে ততক্ষণ
পর্যন্ত আমাদের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে কিছুটা কষ্ট করতে হবে।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *