লো প্রেসার কেন হয়
আজকে আমি আমার সাইটের যে বিষয় আলোচনা করব , সেই রোগটি সকল মানুষের ভিতরে কম বেশি রয়েছে । রোগ টি সর্ম্পকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব ,
সেই জন্য আমার ব্লগ আটিকেল টি পড়লে আপনাদের কনফিউ দূর হয়ে যাবে ।
সবার পরিচিত রোগটি হলো , লো প্রেসার মানুষের কেন হয় ।
লো প্রেসার সাধারনত বুঝি সব সময় রক্তচাপ কম থাকে এবং রোগী খুবই দুচিন্তা করে থাকেন ।
আমরা যখন ডাক্তার এর কাছে যাই তখন , ডাক্তার দুই টা জিনিস লক্ষ করেন ।
যেমন , উপরে টি হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ ও নিচের টা ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয় ।
কিন্তু এই দুইটির মধ্যে মাপ রয়েছে রক্তচাপ এর বিষয়ে , তা হলো ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ মাপ থাকতে হবে ৮০ মিলিমিটার ও সিস্টোলিক রক্তচাপের মাপ হলো ১২০ মিলিমিটার পারদের কম থাকতে হবে ।
লো প্রেসার পরীক্ষার জন্য ডাক্তার এই বিষয় এর উপর বলা হয় লো প্রেসার আছে কি না ।
লো প্রেসার কাকে বলে : – সাধারনত ডাক্তারের ভাষায় সিস্টোলিক ৯০ মিলিমিটার পারদের কম ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মিলিমিটার পারদের কম হলে তা নিম্ন রক্তচাপ বা লো – প্রেশার বল হয় না । যেমন , আমরা ৯০/৬০ মিলিমিটার থেকে ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ থাকলে স্বাভাবিক বলা হয় ।
কিন্তু লো প্রেসার অপ্ল হলে তা নো প্রেসার বলা যাবেনা ।
সাধারনত রক্তচাপ বিভিন্র কারণে হতে পারে , যেমন অতিরিক্ত গরম হলে রক্তচাপের তারতাম্য ঘটতে পারে । অথ্যাৎ পরিশ্রম, পানিশূন্যতা , বিশ্রাম বা ঘুম , হাঁটাচলা , ব্যায়াম ইত্যাদি রক্তাচাপের সর্ম্পক রয়েছে । বেশি শুয়ে থাকা দাড়িয়ে থাকা ও রক্তচাপের কারন হতে পারে । কিন্তু ঘুমের মধ্যে রক্তচাপের প্রভার পরতে পারে ,এ সময় রক্তচাপ কম থাকে ।
লো প্রেসার কেন হয়
সকাল থেকে রক্তচাপ বাড়তে পারে ।কিন্তু যত গরম হবে তত রক্তচাপ এর মাত্রা রাড়তে পারে । কিন্তু তাতে সমস্যা নেই , সিস্টোলিক এর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার ও ডায়াস্টোলিকের জন্য ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার হয়ে থাকে । এই রক্তচাপ এর মাপ কোনো সময় কম বাড়া হয়ে থাকে এটাই স্বাভাবিক ।
রক্তচাপ নিম্র বা উচ্চ হলে কোনো রোগ নহে । কিন্তু বিভিন্ন কারনে রক্তচাপ হতে পারে ।
নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে অন্য রোগের কারনে হওয়ার সমব্ভবনা বেশি ।
তাই রক্তচাপ ৯০/৬০ মিলিমিটার পারদের কম হলে তার কারন বের করা অত্যন্ত জরুলি ।হঠাৎ বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসা নিতে হবে ।
রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক এর চেয়ে কম হলে :
- যেমন অতিরিক্ত দৌড়রানো বা নিয়মিত ভারী ও অ্যাথলেট কারনে ব্যাক্তিদের রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই কমের দিকে চলে যাবে ।
- মেয়েরা অন্তঃসত্বা হলে প্রথম দিকে রক্তচাপ কম থাকে ।
- সাধারণত রাতে , বা ঘুমের মধ্যে বা পরে এবং খাওয়ার সময় রক্তচাপ কিছু সময় কম থাকে ।
- বেশি শোয়া বা বসা ব্যক্তি হঠাৎ দাড়ালে রক্তচাপ একটু কম হযে থাকে । যত বয়স বেশি হবে ৬৫ বছরের লোকেদের ১০ থেকে ২০ শতাংশ এই সমস্যা দেখা যায় ।
- বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার জন্য বয়স্ক লোকদের রক্তচাপ কমতে থাকে ।
রক্তচাপ কমানো পরিচিতি :
- রোগটি দেখা দিলে রক্তশূন্যতা , পানিশূন্যতা বমি রক্তক্ষরণ ও ডায়ারিয়া ।
- রোগীর হরমোনজনিত সমস্যা যা থাইরেয়েড বা অ্যা্ড্রিনাল গ্রন্থির হরমোন সমস্যা কারনে রক্তচাপ কমে যায় ।
- আর হাট অ্যাটাক বা হৃদরোগ ও হাট ফেইলিওর ভালভের জম্নগত থেকে হতে পারে ।
লো প্রেসার কেন হয়
রক্তচাপ কমানো পরিচয় :
- শরীর দুবল হওয়া
- কিছু সময় চোখে বা অন্ধকার দেখা
- রোগী হঠাৎ জ্ঞান হারানা পর বলতে না পারা
- রোগীর হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
- রোগী খুবই পিপাসা লাগবে
- শোয়া বা বসা কিছুই ভালো লাগবে না
- মাথা ঘোড়া বা ঝিমঝিম করা
প্রতিরোধ :
- প্রথম রোগীর বমি বা ডায়ারিয়া হলে খেয়াল রাখতে যে পানিশূণ্যতা না হয়
- রোগীকে তারা লবণ বাদ দেওয়া যাবে না , তাই দৈনন্দিন লবণ খাওয়াবেন
- সব সময় ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে , তার শরীর যেন ঘামেনা
- বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না , কাজের মাঝে হালকা নাস্তা করা
- নিয়ম মেনে উঠা বসা করা যাতে রক্তচাপের সমস্যা না হয় , ৬০ বছরের লোকদের এটা বেশি হয় ।
রোগীর রক্তচাপ স্বাভারিক এর দিকে নিতে হবে ।
যদিঔষধ খাওয়ান তাহলে বাদ দিবে না এতে রোগীর সমস্যা বেশি হতে পারে ।কিন্তু রক্তচাপ কম হলে রোগীর মস্তিস্ক ,
কিডনি ও হৃৎপিন্ড রক্তস্বপ্লতা জটিলা দেখা দিতে পারে ।
সব সময় রোগীকে স্যালাইন ও ডাবের পানি এবং তরল খাবার দিতে হবে ।
আশা করি আপনাদের লো প্রেসার রোগটি বিষয় আর সমস্যা থাকবে না
সবার সুস্বাস্থ্য্ কামনা করছি ,