শরীরে রোগ হলে চেনার উপায়
আমাদের চেহারা অনেক রোগের কথা আগাম জানিয়ে দেয়।
যদি আমরা চেহারার দিকে সঠিকভাবে খেয়াল করি।
আপনার শরীরে ১৩ টি বিষয় লক্ষ করলে আপনারা নিজেই জানতে পারবেন।
শরীরে রোগ আছে। ফ্যাঁকাশে চোখ, লাল চোখ, মেয়েদের মুখের আশে পাশে লোম গজানো, ঠোঁটের কোণায় ঘ্যা।
মুখের উপর তিল বা আচিঁল এমন আরো কতগুলো বিষয় লক্ষ্য করলেই প্রাথমিক পর্যায়েই জঠিল কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আপনারা ধরে ফেলতে পারবেন।
তাহলো চলুন বিস্তারিত আলোচনা যাওয়া যাক।
১। চোখ ফ্যাঁকাশে হয়ে যাওয়া:
এটা অপুষ্টি বা রক্ত শূণ্যতার লক্ষ্যণ। কিভাবে আপনারা বুঝতে পারবেন।
আপনার চোখ ফ্যাঁকাশে? আয়নার সামনে দাড়িয়ে চোখের নিচের পাতা টেনে ধরে চোখে ২ টা রং দেখতে পাবেন।
যদি চোখের বাহিরের অংশ উজ্জল ও লাল হয়, আর চোখের ভিতরে অংশ হালকা গোলাপী আভা দেখতে হয় ।
তাহলে আপনারা বুঝবেন এটা চোখের স্বাভাবিক রং ।
তবে চোখের ভিতরে দুইটা রং বাদে একটা রং দেখেন।
অর্থাৎ চোখের বাহিরে উজ্জল লাল রং না দেখায় এবং চোখের পুরাটা জুরে হালকা গোলাপী আভা দেখা যায়
। তবে এটা রক্ত শূর্ণ্যতা লক্ষণ হবে। এ পর্যায়ে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
ডাক্তার কিছু পরীক্ষা করার পর আপনি রক্ত শূণ্যতায় ভুগছেন কিনা সে বিষয়ে ডাক্তার চিকিৎসা দিবে।
২। তিল বাা আঁচিল :
আপনাদের শরীরে তিল বা আঁচিল আছে কিনা তাহলে খুব ভালো করে খেয়াল করবেন সেটা দেখতে কেমন। পারলে ছবি তুলে রাখবেন।
কারণ তিলে যদি কোন পরির্বতন আসে। যেমন, রং পাল্টায় বড় উঁচু হয় বা আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়। তবে সেটা ক্যান্সারে লক্ষণ হতে পারে। তখন খুব দ্রুত একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ বা ডারমাটোলোজিষ্টের পরার্মশ নিতে হবে।
কিন্তু এই পরির্বতনের বোঝার জন্য আপনাকে আগে থেকেই জানতে হবে তিলে বা আঁচিলে আকার কেমন ছিল। সেজন্য এ বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে
৩। জিহŸার খাজ মুছে যাওয়া:
আয়না অবশ্যই জিহ্বা দেখতে হবে। সাধারনত আমরা খাওয়া ছাড়া জিহ্বা দিকে তাকাই না।
কিন্তু ডাক্তারের জিহ্বা দেখে অনেক কিছু বুঝতে পারি। আমরা যদি আয়না ভালো করে দেখি তাহলে দেখবেন আমাদের জিহ্বা ছোট বড় অনেক ছোট খাঁজ বা ভাঁজ আছে।
কিন্তু এই ভাঁজগুলো জিহ্বা থেকে মুছে মসৃণ হয়ে যায় ।
ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬, আয়রন ইত্যাদি। অনেকগুলো ভিটামিন ও মিনারেলের অভাবে এমন হতে পারে।
৪। ঠোঁটের কোণায় ঘ্যাঁ হওয়া:
আপনি খেয়াল করবেন আপনার ঠোঁটের দুই পাশে লাল ও ফুসকুড়ির মতো হয়ে থাকে ।
তবে সেটা আয়রন , জিষ্ক, কিছুটা বি ভিটামিনের অভাবে হতে পারে।
এজন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে বেশি মনোযোগ দিবেন।
৫। মুখের এক পাশে বেঁকে যাওয়া:
এটা ব্রেইন স্টোক এর লক্ষণ।
স্টোক করলে ব্রেইনের এক অংশের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আপনি যত চিকিৎসা নিতে দেরি করবেন তত তারাতাড়ি ব্রেইনের কোষগুলো মারা যায়।
আর রোগীর প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা ও মৃত্যের ঝুকি বেড়ে যায়।
তাই দ্রুত সময় নষ্ট না করে তারাতাড়ি রোগীকে হাসপাতালে র্ভতি করতে হবে।
শরীরে রোগ হলে চেনার উপায়
সাধারণত চোখ লাল হলে আমরা তেমন পাত্তাই দেয়না।
আমরা মনে করি ঘুম কম হওয়ার কারণে চোখ লাল হয়।
অ্যালার্জির কারণে চোখ লাল হয় অথবা চোখ উঠলে চোখ লাল হয়।
এসব বিষয় আমরা সাধারণত আমরা কেয়ার করিনা।
কারণ এগুলো সচারচর হয়ে থাকে। চোখ সবসময় লাল হয়ে থাকলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
৭। চোখের পাতার কোণায় ছোট দানা:
এটাকে আমরা সাধারণত অঞ্জলি বা আনজুনি বলে চিনি। চোখের পাতার কোণায় হাল্কা ছোট দানার মতো হয়। এজন্য চোখে খুব ব্যাথা অনুভব হয়। দিনে ৩/৪ বার হাল্কা গরম পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। তাহলে খুব তারাতাড়ি অঞ্জলি বা আনজুনি থেকে মুক্তি পাবেন।
৮। চোখের আশেপাশে হলুদ গোটার মত হওয়া :
আপনি চোখের আশেপাশে লক্ষ করেন। যদি চোখে পাতার উপরে হলুদ গোটার মতো দেখায় তবে সেটা হার্টের আগাম লক্ষণ হতে পারে।
৯। বাটার ফ্লাই র্যাশ :
আমাদের মুখে অনেক ধরণে দাঁগ হয় সেগুলো নিয়ে আমরা কোন দুচিন্তা করিনা। কিন্ত এক ধরনের দাগ দেখে দিলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সেই দাগ হলো চোখের নিচে বাটার ফ্লাই র্যাশ বা প্রজাপতির পাখার মতো লালছে রং হবে। এটি একটি জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই খুব তারাতাড়ি ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।
১০। ঠোঁট ফাটা :
শীতকালে বাতাসে জ¦লীর পরিমান কম থাকলে ঠোঁট ফাটে। ঠোঁট ফাটলে জিহŸা দিয়ে ঠোঁট ভিজাবে না। তবে ঠোঁট আর মুখ আরো বেশি শুকিয়ে যায়। রাতে ঘুমানো আগে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে গুমাবেন।
১১। চোখ হলুদ হওয়া:
অনেক সময় আমাদের চোখ হলুদ হয়। সেটা আমরা জন্ডিস বলে ধরি। প্রথমে চোখ হলুদ হয় তারপর সারা শরীর হলুদ হয়। শরীরে অনেক জটিল রোগের কারণে এমনভাবে হলুদ হতে পারে। তাই দেরি না করে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।
১২। মেয়েদের চেহারার আশেপাশে লোম গজানো:
মেয়েদের হাতে পায়ে লোম গজায় সেরমক টা নয়। ছেলেদের মত মুখে লোম গজানোর মতো মেয়েদের মুখে অল্প কিছু লোম গজানো। এটা এক ধরণের রোগ। যার কারণে মেয়েদের বাচ্ছা নিতে সমস্যা হয়।
১৩। জ্বর ঠোসা:
জ্বর ঠোসা বলতে মুখের আশেপাশে ফুসকুড়ির মতো দেখায়। এরকম ফুসকুড়ির মতো হলে । খুব তারাতাড়ি ডাক্তারের পরার্মশ নিতে হবে।
সাধারণত চোখ দেখে আমরা যেসব রোগ বুঝতে পারি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আর যেসব রোগ চোখ দেখা ছাড়া বুুঝতে পারিনা তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে ও চিকিৎসা নিতে হবে।