সবচেয়ে কোন মাছে ভিটামিন বেশি
মসৃণ ত্বক,স্বাস্থ্যকর চুল,সুস্থ্য হার্টের জন্য আমাদের তৈলাক্ত মাছ খাওয়া প্রয়োজন।
যে মাছে ভালো পরিমাণ অমেগা ফেট ৩ আছে।
কিন্তু আমরা কোন মাছ খাবো? আমাদের খালে বিলে ঝিলে নদীতে বা পুকুরে যে মাছ পাওয়া যায় তাতে কি অমেগা-৩ ফেট আছে।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক আমাদের দেশে যে মাছগুলো পাওয়া যায় তাদের মধ্যে কোন মাছে অমেগা-৩ ফেট বেশি পাওয়া যায়।
ইলিশ মাছ: দেশি মাছের মধ্যে ইলিশ মাছে সবচেয়ে বেশি অমেগা ফেট-৩ পাওয়া যায়।
বর্ষাকালে বাজারে যে ইলিশ পাওয়া যায় তা গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৫১০ মিলি অমেগা ফেট-৩ পাওয়া যায়।
বাটা মাছ: বাটা মাছ কে কেউ কেউ ‘পারশে’ মাছ বলে। এই মাছে প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে ৫২০ মিলি অমেগা ফেট-৩ পাওয়া গেছে।
পুটি মাছ: অনেকে এই মাছকে জাত পুটি মাছ নামে চিনেন। ভারতের গবেষণায় দেখা গেছে ১০০ গ্রাম পুটি মাছে ৪৬৬ মিলি অমেগা ফেট-৩ পাওয়া গেছে।
কাজলি বা বাঁশপাতা মাছ: কাজলি মাছে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৫০ মিলি অমেগা ফেট-৩ পাওয়া গেছে।
চাপিলা মাছ: চাপিলা মাছ ধরতে গেলে অলরাউন্ডার মাছ। এই মাছে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৪২ মিলি অমেগা ফেট-৩ ও আয়রন পাওয়া গেছে। আয়রন নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। আর বিশেষ করে এই মাছে ভিটামিন বি-২ পাওয়া যায়। যাদের ভিটামিন বি-২ শরীরে র্ঘাটতি আছে তারা দিনে ১০০ গ্রাম চাপিলা মাছ খেতে পারেন।
মহাশোল মাছ: ভারতের গবেষণায় দেখা গেছে ,
মহাশোল মাছে, ৩১৭ মিলি অমেগা ফেট-৩ পাওয়া যায়। বর্তমানে মহশোল মাছ এখন খালে বিলে সব জায়গায় পাওয়া যায়।
যে মাছগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম সেগুতে অমেগা ফেট-৩ আছে তা গবেষণা করার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি।
এছাড়া অন্য মাছের মধ্যে অমেগা ফেট-৩ থাকতে পারে। তবে শরীর সুন্দুর সুস্থ্য ও মুজবত রাখতে পরিমাণ মতো মাছ খেতে হবে।
একজন সুস্থ্য মানুষের জন্য দৈনিক ১০০ গ্রাম মাছ খেলে তার দৈনিক যে ভিটামিরের ঘাটর্তি আছে তা পুরুণ হবে।