নবজাতকের নিউমোনিয়া কেন হয়
আজকে আমি আমার ব্লগ সাইটে যে বিষয় আলোচনা করব , আর কিছু দিন পর আমাদের বাংলাদেশ শীতকাল চলে আসবে । তাই আমি আপনাদের বলতে চাই , যে ছোট্ট সোনা মণিদের শীত এর সময় নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায় । তাই আমি নিউমোনিয়া বিষয়ে আজকের ব্লগ টিপস দিবো , আশা করি ব্লগটি সম্পুণ পড়লে আপনাদের সন্তানদের নিউমোনিয়া রোগের সচেতন হবেন ।
1.নিউমোনিয়া কাকে বলে :-
নিউমোনিয়া যা হলো এক ধরনের ফুসফুসের প্রদাহ । যা আমাদের ফুসফুসের আলভিওলি বা বায়ু থলিতে ছোট ছোট ছিদ্র দিয়ে জীবাণুর সংক্রমণের কারণে এই প্রদাহের সৃষ্টি হয় । প্রতি বছর নিউমোনিয়া রোগে লক্ষাধিক আক্রান্ত হয় ও মারা ও যায় । কিন্তু শীতকালে বয়স্ক ও শিশুদের এই রোগ বেশি প্রভাবিত করে । অথ্যাৎ নিউমোনিয়া রোগের আক্রান্ত মৃত্যু হার কম পক্ষে 16 থেকে 40 % । এই রোগ বিষয়ে কথা বলবো , যা দ্রুত নিরাময় করা যায় ।
2.নিমোনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো :-
নিউমোনিয়া রোগ হলে বা লক্ষণ দেখা দিলে এবং চিকিৎসা জানা থাকলে অনেক সহজ হয় । কিন্ত সেটা প্রযোজ্য নিউমোনিয়া রোগের জন্য ,
যেমন :
- প্রথমে খাবারে অরুচি ।
- একই ভাবে 3 সপ্তাহের বেশি কাঁশি থাকা ।
- কাঁশির সাথে রক্তক্ষরণ ।
- শরীরের ফ্যাকাসে বা নীল শিরার মধ্যে দাগ দেখা যায় ।
- প্রচুর ক্লান্তি হওয়া ।
- রোগীর সম্পুণ শরীরে ব্যথা হওয়া ।
- যেমন বুকে ব্যথা ।
- রোগীর শরীরে জ্বর তাপমাত্রা 103 F বা 39.5 Cউপর হতে পারে ।
- শ্বাস নেওয়ার সময় বুক ধরফর করা ।
- রোগী কাঁশির সময় বুকে তীব্র ব্যথা হওয়া ।
- এবং শ্বাস – প্রশ্বাসে রোগীর কস্ট হওয়া ।
- রোগীর (কফ) হলুদ বা সবুজ রঙের শ্লেষ্মা দেখা যায় ।
যেমন আমি আপনাদের উপরে যে লক্ষণ গুলো বললাম , যা একটি লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ডার্ক্তার এর পরামশ নিবেন । অথ্যাৎ কাঁশি (80-90) ক্লান্তি (70-74) এবং জ্বর ( 87)
নবজাতকের নিউমোনিয়া কেন হয়
3.নিউমোনিয়া প্রধাণ কারণ : –
নিউমোনিয়া রোগটি যে কোনো জীবাণু বায়ু থলি বা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস দ্বরা আক্রান্ত হয় । যে সাধারণ এই রোগ গুলো থেকে রক্ষা হয়ে থাকে । তাই আমাদের ধুলা বালি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মাস্ক ব্যবহার করব । যদি আমরা নিয়মকানুন না মেনে চলি তাহলে আমাদের ফুসফুস ধুলাবালি গিয়ে শ্লেষ্মা জমা হয়ে নিউমোনিয়া পরিণত হবে ।
তাই নিচে প্রধাণ ধাপ গুলো দেওয়া হলো : –
- নিউমোনিয়া ব্যাকটেরিয়া ও স্ত্রেপটোক্কাকাস শতকরা ৫৫ টি কারণ দেখা যায় । যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য বেশি হয়ে থাকে । নিউমোনিয়া হলো ফুসফুস সর্দি মাধ্যমে আক্রামণ করে ।
- বিভিন্ন পরজীবী নিউমোনিয়া দেখা দেয় ট্যাক্সাপ্লাসম গন্ডী স্ত্রোঙ্গিলইদেস স্তেরকরালিস আস্কারিস লামব্রিকইসেস ইত্যাদি মাধ্যমে চড়ায় ।
- ছত্রাক এর মাধ্যমে কম হয় , যেমন হিসটোপ্লাসম কাপ্সুলাটাম ব্লাসটোমোইসেস ত্রিপ্টোকক্কাস নিওফরমান্স ইত্যাদি । নিউমোনিয়া সংক্রমণ হতে পারে আর দুবল ইম্মুনিটির কারণে
- নিউমোনিয়া সংক্রমণ হয় সাধারণত এক তৃতীয়াংশ ভাইরাস থেকে ,যেমন কারক – ভাইরাস হোল – রাইনো ভাইরাস করোনা ভাইরাস ,রেস্পিরেটোরি সিস্কসাইটাল ভাইরাস – আডোনো ভাইরাস ইত্যাদি ।
- আর ব্যাকটেরিয়া জীবাণু মাইকোপ্লাজম নিউমোনিই ফুসফুস বেশি আঘাত হানে ।
- আর ভাইরাস নাম আপনাদের বলে দেই , যেমন হিমোফিলাস ইফলুয়েঞ্া , ক্লামিদোফিলিয়া নিউমোনি , লেজিওল্লা , ও মরাস্কেল্লা কাতারহালিস । যারা নেশা বা মদ্য পান করে তাদের সংক্রমণের হার বেশি হয়
4.নিউমোনিয়া অসুস্থতা সংক্রমণ : –
- কোভিট -১৯
- হিউম্যান প্যারাফুয়েঞ্জা
- সর্দিকাঁশি
- নিউমোকোকাল
নিউমোনিয়া হসপিটাল ও ছড়াতে পারে , যার ফলে অন্য রোগী চিকিৎসা নিতে এসে আক্রান্ত হয় ।
নিউমোনিয়া শরীরে সংক্রমণের :-
সাধারণত নিউমোনিয়া হলে প্রধান উচ্চ শ্বাস নালীতে আঘাত হানবে । তারপর ফুসফুস শ্বাস নালীতে হাত থেকে রক্ষা করে থাকে ।পরবতীতে রোগীর শ্বাস প্রতিরোধী ক্ষমতা কমে যায় । নিউমোনিয়া রোগ হলে ধীরে ধীরে সংক্রামক ক্ষমতা উগ্রতা হয় ।
নবজাতকের নিউমোনিয়া কেন হয়
সংক্রমন আক্রান্ত রোগীর ইমুনিটির সাথে নিভর করে । নিউমোনিয়া রোগীর হাঁচি ও কাঁশির মাধ্যমে অন্য ব্যক্তি শ্বাস গ্রহণ করলে তার শরীরে নিউমোনিয়া রোগ সংক্রমিত হবে ।
স্থায়ীত্বকাল :-
সাধারণত নিউমোনিয়া রোগটি 2 থেকে তিন মাস পযন্ত থাকে ।
নিউমোনিয়া নিরাময় :
নিউমোনিয়া রোগটি হলো সঠিক ভাবে চিকিৎসা করলে পুরোপুরি 2 থেকে 3 লাগবে । কিন্তু রোগীর অবস্থা যদি খারাপ হয় তাহলে একটু সময় বেশি লাগতে পারে ।
এই রোগ বয়স্ক যেমন ষাট বছর এর উপরে যাদের হাট , ফুসফুস, কিডনি বা স্লায়বিক দুবলতা থাকলে সে সমস্ত রোগীর সুস্ততা হবে সময় লাগবে ।
নিউমোনিয়া পরীক্ষা : –
নিউমোনিয়া নিণয় করার জন্য প্রথমে ডাক্তার তাদের ল্যাব চেক করানো হবে ,
- স্পটাম কালচার
- ব্লাড কাউন্ট
- চেস্ট এক্স-রে
- চেস্ট স্ক্যান
চিকিৎসা :
নিউমোনিয়া রোগটি হলে সাধারণ রোগীর শ্বাস – প্রশ্বাস তীব্রতা বেড়ে যায় । পরবতীতে রোগীর ভয়াবহতা বৃদ্বি পায় । তারপর হসপিটাল ভতি করা হয় ।
- কফু মেডিসিন ব্যবহার করা
- জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা
- অ্যান্টি বায়োটিক প্রয়োগ করা
- রোগীর শ্বাস – প্রশ্বাস চলমান রাখা , প্রয়োজনে অক্সিজেন দিতে হবে ।
প্রতিরোধ উপায় :
- পুস্টিকর খাদ্য খেতে হবে
- ধুলা বা ধোয়া থেকে বিরত থাকা
- নাক ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করা
- ভ্যাস্কিন ব্যবস্থা করতে হবে
- যেমন , প্রাপ্ত রয়স্ক ও শিশুদের ফুলু ভ্যাক্সিন দিতে হবে
- শিশুদের নিরাময় উপায় :-
সাধারনত দুই বছরের বাচ্চাদের বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে ।
নবজাতকের নিউমোনিয়া কেন হয়
- লবাক্ত গরম পানির ফেনা নিবেন ।
- তারপর হটকম্প্রেস করতে হবে ।
- নিয়ম মেনে বাচ্চাকে ঔষধ খাওয়াতে হবে ।
- কাশি হলে পালমোনোলজি খাওয়ার আগে ডাক্তার এর পরামশ নিবেন ।
- বাচ্চাদের নিউমোনিয়া হলে স্যুপ জাতীয় পানি পান করাবেন , তাহলে রোগীর শরীল ঠান্ডা থাকবে ।
- মায়ের বুকের দুধ শিশুকে ৬ মাস খাওয়াতে হবে ।
- তাই শিশুদের নিয়ম করে টিকা দিতে হবে যেমন : নিউমোক্কাকাস হাম এবং হুপিং কাশি বা পাটুসিস টিকা দিতে হবে ।
নিউমোনিয়া থেকে বাচার জন্য কোন খাবার বজণ করা :
- ঠান্ডা খাবার না খাওয়া
- ঠান্ডা পানীয়
- তরকারীতে বেশি লবণ
- ট্রান্স যুক্ত খাবার ও স্যাচুরেটেড
- খাবারের তালিকা :
রোগকে দমন করার জন্য প্রতিদিন রোগীরক সুষম খাবার অবশ্যই ক্ষেত্রে হবে ।প্রচুর শক্তির দরকার হবে বেচে থাকার জন্য ,
- গরম দুধ খেতে দেওয়া
- পানির , ডাল , ও লেবুর মতো খাবার দিতে হবে
- সবুজ শাকসবজি
- গরম স্যুপ
- ও টক দই রোবায়োটিক খাবার দেওয়া
- ফলের তাজ রস , বাটার মিক্ল বা ঘোল ও নারিকেল ঠান্ডা পানি খেতে দিবেন
আশা করি উপরে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চললে , আমি মনে করি একজন নিউমোনিয়া রোগী খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ
আপনারা ব্লগটি ভালো ভাবে পড়বেন তাহলে নিউমোনিয়া রোগটির সমস্যা সমাধান করতে পারবেন অতি সহজে ।
সবার সুসাস্থ্য কামনা করছি ।