মাথা ব্যাথা ষ্ট্রোকের কারণ কী

3

মাথা ব্যাথা ষ্ট্রোকের কারণ কী

কয়েক সপ্তাহ আগে আমি একটা রোগী দেখি, যার ষ্ট্রোক হয়েছিল ।

অর্থ্যাৎ, তার মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তার মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা হয় এবং তিনি জানতে না যে,

তার মাথা ব্যাথা  ব্রেণ ষ্ট্রোকের লক্ষণ।

তার মাথা ব্যাথা আস্তে আস্তে কমে যায়, তাই তিনি আর ডাক্তারের কাছে যাননি।

কিন্তু কয়েকদিন পর তার খিচুনি শুরু হয় তখন তার পরিবার হাসপাতালে নিয়ে আসে

এবং তাকে কিছু পরীক্ষা করানো হয়।

পরীক্ষার পর জানতে পারি তার  ব্রেনের রক্তক্ষরণ হয়েছে ও ষ্ট্রোক হয়।

তখন সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয় কিন্তু সে না ফিরার দেশে চলে গেছেন।

তবে প্রথমেই যখন মাথা ব্যাথা শুরু হয় তখন হাসপাতালে আসলে বেঁচে যাওয়ার সম্ববনা বেশি থাকতো।

এই জন্য আলোচনা করছি যদি কখনো আপনার প্রিয়জন বা পরিবার সদস্য মাথ্য ব্যাথা হয় বা এরকম পর্যায় সৃষ্টি হয়।

সেজন্য সবাই বিষয়টি জানতে পারে।

এবার মুল বিষয় নিয়ে আসি। আমাদের সবার কম বেশি মাথা ব্যাথা হয় ।

একটু পানি বেশি খেলে, বা একবেলা ভাত না খেলে,

খুব ক্লান্ত থাকলে, ঘুম কম হলে মাথা ব্যাথা হতে পারে। প্রায় দেড়শর মতো মাথা বাথ্যার ধরণ আছে এগুলো দুচিন্তার কারন না এমনি চলো যায়।

কিন্তু এক ধরণের মাথা ব্যাথা হলে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে। তাই এ্টা কোন মতেই এড়িয়ে যাওয়া যাবেনা।

সেটা কি ধরণের মাথা ব্যাথা।

 

মাথা ব্যাথা ষ্ট্রোকের কারণ কী

শুরুতেই যে রোগীর কথা বলেছিলাম, তিনি প্রতিদিনের ন্যায় যা করেন তাই করছিলেন তবে তিনি বই পড়ছিলেন।

বই পড়া অবস্থায় তার মাথার পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয়। মনে হচ্ছে তার মাথায় ইট দিয়ে কেউ বারি দিছে।

এমন মাথা ব্যাথা তার জীবনে কখনো হয়নি। তিনি বমি করেন আর মাথা ব্যাথা আস্তে আস্তে কমতে থাকে ।

পরে সে তার পরিবারকে বলে তার প্রচুর মাথা ব্যাথা হয়েছিল।

কিন্তু সে সময় তিনি হাসপাতালে আসিনি। কয়েক দিন পর আবার মাথা বাথ্যা শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি হলে, পরীক্ষার পর জানা যায় তার মাথায় রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।

যদি আপনার মাথা ব্যাথা তীব্র আকার ধারণ করে, মানে সেই রোগীর মত তাহলে দেরী না করে হাসপাতালে যেতে হবে।

অধিকাংশে অনেকের বেলায় খুব তারাতাড়ি প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হয় ।

আবার কারো বেলায় দেরীতে মাথা ব্যাথা হয়। তারাতাড়ি হউক বা আস্তে মাথা ব্যাথা হলে আপনি খুব তারাতাড়ি হাসপাতালে যাবেন। সাধরনত মাথা ব্যাথা হয় আবার সেরে যায়।

আমরা সেই মাথা ব্যাথার কথা বলছি না। ব্রেইন ষ্ট্রোক রোগীর বেলা কিছু লক্ষন দেখা যায় ।

যেমন:– মাথা ব্যাথা হলে বমি বমি ভাব হওয়া, চোখের পাতা নেমে যাওয়া,

আবল তাবল বলা, ঘার শক্ত হয়ে যাওয়া, আলোতে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি হলে খুব তারাতাড়ি হাসপাতালে রোগী ভর্তি করতে হবে।

আর ডাক্তারের পরার্মশ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

 

 

 

 

 




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *